স্টেপ বাই স্টেপ জে বিউটি স্কিনকেয়ারঃ কিভাবে জাপানিজ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিবেন?

বিশ্বজুড়ে জাপানিজ নারীপুরুষ তাদের সুন্দর এবং প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। চল্লিশোর্ধ একজন জাপানি নারীকে দেখলে আপনি বুঝতে-ই পারবেন না তার বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। বরং দেখে মনে হবে সদ্য কুড়িতে পা দেওয়া তরুণী। আর জাপানি নারীদের এই সৌন্দর্য্যের রহস্য হলো নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া। অর্থ্যাৎ, একটি স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা। জাপানের এই নির্দিষ্ট স্টাইলের স্কিনকেয়ার রুটিনকে বলা হয় জে-বিউটি। কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের চাইতে তুলনামূলকভাবে বেশ ঝামেলামুক্ত জাপানিজ স্কিনকেয়ার বা জে-বিউটি। বর্তমানে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে জাপানিজ স্কিনকেয়ার জনপ্রিয়তা বেড়ে-ই যাচ্ছে। চলুন জেনে নেয়া যাক জাপানিজ স্কিনকেয়ারের বিস্তারিত খুঁটিনাটি।
জাপানিজ স্কিনকেয়ার রুটিনের মূল উদ্দেশ্য হলো ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত রাখা। এজন্য প্রতিদিন সকাল এবং রাতে দুইবেলা ত্বকের যত্ন নিতে হয়।
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক সকালবেলার স্কিনকেয়ার রুটিন কিভাবে ফলো করতে হবে।
১ম স্টেপ- ক্লিঞ্জিং/ত্বক পরিস্কার করাঃ
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সবার আগে যেই কাজটি করতে হবে তা হলো সারারাত ধরে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও তেল পরিষ্কার করে ফেলা। এজন্য ব্যবহার করতে হবে ত্বকের সাথে মানানসই একটি ফেসওয়াশ। ফেসওয়াশ কিংবা যেকোনো প্রোডাক্ট বেছে নিতে হলে সবার আগে জানতে হবে আপনার স্কিন টাইপ কি? এজন্য সবচাইতে সহজ উপায় হলো রাতের বেলা ঘুমাতে যাবার আগে শুধুমাত্র পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে স্কিনে কিছু ব্যবহার না করে ঘুমাতে যাওয়া। পরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি আপনার ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে থাকে এবং ত্বকে টান টান ভাব অনুভূত হয় তবে আপনার স্কিন টাইপ হলো ড্রাই বা শুষ্ক ত্বক। যদি আপনার ত্বক তেলতেলে হয়ে থাকে এবং তেমন একটা শুষ্কতা দেখা না যায় তবে স্কিন টাইপ হলো অয়েলি বা তৈলাক্ত। আর যদি আপনার কিছু অংশ তৈলাক্ত এবং বাকি অংশ শুষ্ক হয় তবে আপনার স্কিন টাইপ কম্বিনেশন। এক্ষেত্রে সাধারণত কপাল এবং নাকের চামড়া তৈলাক্ত এবং বাকি অংশ শুষ্ক হয়ে থাকে।
আপনার ত্বক যদি শুষ্ক বা ড্রাই হয় তবে বাজেটের মধ্যে সেরা একটি ফেসওয়াশ হলো Hada Labo Gokujyun Hyaluronic Acid Foaming Cleanser, এতে রয়েছে হায়ালুরনিক এসিড, যা ত্বকের গভীরে হাইড্রেশন ধরে রাখে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। একইভাবে ড্রাই স্কিনের অধিকারীরা Sana Nameraka Honpo Cleansing Face Wash কিংবা Reihaku Hatomugi Moisturizing Facial Cleansing Foam বেছে নিতে পারেন। দু’টোতে-ই রয়েছে হাইড্রেটিং এবং ত্বকের জন্য উপকারী বিভিন্ন ইনগ্রেডিয়েন্টিস।
অয়েলি স্কিনের অধিকারীরা ব্যবহার করতে পারেন Cow Brand Skinlife Facewash, ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করার পাশাপাশি অয়েলি স্কিনের অন্যতম প্রধান সমস্যা ব্রণ এবং ক্লোজড কমেডনস দূর করতে এতে বিভিন্ন রকমের উপাদান রয়েছে।
কম্বিনেশন স্কিনের জন্য বেশ ভাল একটি ফেসওয়াশ হলো Shiseido Senka Perfect Whip Cleansing Foam,
এছাড়াও যদি ত্বকে সেন্সিটিভিটির ইস্যু থাকে, কোনোকিছু-ই সহজে স্যুট করতে না চায় তবে, MUJI Sensitive Skin Foaming Face Wash হবে আপনার জন্য সেরা পছন্দ।
২য় স্টেপ-টোনার/লোশন-
জাপানিজ স্কিনকেয়ারে টোনার বা লোশন ব্যবহার অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি ধাপ। জাপানিরা টোনারকে বলে থাকে লোশন। এই লোশনগুলোর টেক্সচার সাধারণত পানির মতো হয়ে থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে খানিকটা ঘন ও হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরণের লোশন পাওয়া যায়। এদের কাজ মূলত স্কিনকে হাইড্রেট করা, অনুজ্বল স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, এন্টি এজিং এর কাজ করা ইত্যাদি। আসলে ত্বকের সমস্যা ভেদে লোশন বেছে নিতে হয়।
ত্বকের মলিনতার জন্য- ত্বকে ডালনেস বা উজ্জ্বলতা কম থাকলে বেছে নিতে হবে এমন লোশন যাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ট্রায়নেক্সামিক এসিড এবং নায়াসিনামাইডের মতো ব্রাইটেনিং উপাদান। জাপানে ব্রাইটেনিং এর জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় লোশন হলো Hada Labo Shirojyun Premium Medicated Whitening Lotion, এই লোশনের একটিভ উপাদান হলো ভিটামিন সি। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের পুরাতন ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আছে হায়ালুরনিক এসিড এবং ভিটামিন ই। এগুলো ত্বককে গভীর থেকে হাইড্রেটেড রাখে এবং স্কিন ব্যারিয়ার মজবুত করে। বর্তমানে এই লোশনের দুটি ভার্সন বাজারে পাওয়া যায়। একটি Rich এবং অপরটি Normal ভার্সন। Rich ভার্সনটি তূলনামূলকভাবে ঘন এবং যাদের ত্বক অতিরিক্ত ড্রাই, ডিহাইড্রেটেড তাদের জন্য মানানসই। নর্মাল ভার্সনটি অয়েলি এবং কম্বিনেশন সব স্কিনে ব্যবহার করা যাবে। ডালনেস দূর করতে আরও একটি কার্যকর লোশন হলো Melano CC Medicated Anti Spot Whitening Lotion. এতেও একটিভ উপাদান হিসেবে রয়েছে ভিটামিন সি।
ব্রণের জন্য- ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে ব্যবহার করতে হবে এন্টি একনি উপাদান যুক্ত লোশন। এজন্য বেছে নিতে পারেন Rohto Mentholatum Acnes Clear Lotion অথবা Meishoku Bigansui Acne Skin Lotion. এই দুটি লোশন-ই ব্রণ দূর করতে এবং ত্বকের লোমকূপ বা পোরস ক্লগ হয়ে যাওয়া রোধ করে। একইসাথে এতে থাকা ল্যাকটিক এসিড ও গ্লাইকলিক এসিড ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে।
অ্যান্টি এজিং এর জন্য- জাপানিজ স্কিনকেয়ারে এন্টি এজিং তথা ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে অ্যান্টি এজিং ইনগ্রিডিয়েন্টস সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করা হয়। মূলত, রেটিনল, পেপটাইড, নায়াসিনামাইড ইত্যাদি হলো অ্যান্টি এজিং উপাদান। Hada Labo Gokujyun Alpha Anti Aging Lotion এবং SK-II Facial Treatment Clear Lotion অ্যান্টি এজিং এর জন্য বেশ জনপ্রিয়।
৩য় স্টেপ- ময়েশ্চারাইজিং-
ত্বক ভালভাবে পরিস্কার করে হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করার পর সেই হাইড্রেশন ধরে রাখতে এবং ত্বকে আরও বেশি ময়েশ্চার সরবরাহ করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। অনেকেই অতিরিক্ত ভারি কিংবা ক্রিম জাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না। এক্ষেত্রে জাপানিজ ময়েশ্চারাইজার গুলো হবে বেস্ট অপশন। জাপানের অধিকাংশ ময়েশ্চারাইজার জেল বেইজড হয়ে থাকে। জেল বেইজড হওয়ার পরেও ত্বকে পর্যাপ্ত ময়েশ্চার ধরে রাখতে এদের জুড়ি নেই। বিভিন্ন স্কিনটাইপের জন্য উপযোগী কিছু ময়েশ্চারাইজার হলো-
ড্রাই স্কিন-
1.Sana Nameraka Honpo Extra Moist Gel: এই ময়েশ্চারাইজারটি ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে Soy Milk Extract, যা ত্বকের মলিনতা দূর করে ও রোদের কারণে কালচে হয়ে যাওয়া ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
2. Hada Labo Gokujyun Perfect Gel: এই ময়েশ্চারাইজারটি জাপান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। এতে আছে ৪ ধরণের হায়ালুরনিক এসিড, সেরামাইড এবং স্কোয়ালিনের মতো অসাধারণ সব উপাদান। এগুলো ত্বকে হাইড্রেশন দেয়, স্কিন ব্যারিয়ার মজবুত করে এবং ত্বককে ভেতর থেকে সজীব রাখে।
3. Kikumasamune Japanese Sake Skin Care Cream: যাদের ত্বক একটু বেশি-ই ড্রাই তাদের জন্য এই ময়েশ্চারাইজারটি পারফেক্ট। এটি মূলত ক্রিম টাইপ ময়েশ্চারাইজার তবে একদমই ভারী নয়। এর মূল উপাদান হলো সেইক বা রাইস ওয়াইন। জাপানে এই রাইস ওয়াইন বা সরাসরি ভাত ব্যবহার করে তৈরী ওয়াইন বেশ জনপ্রিয়। খাবারের পাশাপাশি জাপানিরা তাদের স্কিনকেয়ারেও এটি ব্যবহার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাইস ওয়াইন ব্রাইটেনিং এর জন্য চমৎকার একটি উপাদান। এছাড়াও, এতে রয়েছে সেরামাইড এবং অ্যামিনো এসিড। এই অ্যামিনো এসিড হলো মূলত প্রোটিন। যা আমাদের ত্বকের প্রধান গাঠনিক উপাদান।
অয়েলি স্কিন-
1. Utena Simple Balance Hyaluronic Acid Moisture Gel: এই ময়েশ্চারাইজারটি বেশ লাইটওয়েট, ত্বকে একদমই ভারী অনুভূত হবেনা। ফলে তৈলাক্ত ত্বকে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে। এতে আছে ৩ ধরণের হায়ালুরনিক এসিড, সেরামাইড আর ৮ ধরণের অ্যামিনো এসিড।
2. Meishoku Ceracolla Perfect Gel Moisturizer: এটিও জেল বেইজড ময়েশ্চারাইজার এবং ত্বকে পর্যাপ্ত হাইড্রেশন দেয়। এতে সেরামাইড, হায়ালুরনিক এসিড ইত্যাদির পাশাপাশি আছে কোলাজেন। কোলাজেন আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে-ই থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন কমতে থাকে। ফলে ত্বকে বলিরেখার সৃষ্টি হয়। স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস এ কোলাজেন ব্যবহার করে ত্বকে বার্ধ্যকের ছাপ কমানো হয়।
3. Naturie Hatomugi Conditioning Gel: যদি আপনার ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি হয়ে থাকে তবে এটি আপনার জন্য পার্ফেক্ট ময়েশ্চারাইজার। একদমই লাইটওয়েট এই ময়েশ্চারাইজার ত্বককে গভীর থেকে হাইড্রেট করে।
কম্বিনেশন স্কিন-
কম্বিনেশন স্কিনে সাধারণত ড্রাই স্কিনের ময়েশ্চারাইজারগুলো সহজে স্যুট করে যায়। তবে যদি স্কিনে সেনসিটিভ বা সংবেদনশীল হয়ে থাকে তবে MUJI ব্র্যান্ড এর MUJI Sensitive Skin Moisturizing Cream বেছে নিতে পারেন। স্কিন টাইপ, ড্রাই, অয়েলি কিংবা কম্বিনেশন যেটা-ই হোক না কেন ত্বক সেন্সিটিভ হতে পারে।
চতুর্থ স্টেপ- সানস্ক্রিনঃ
সকালবেলার স্কিনকেয়ার রুটিনে আর কিছু ব্যবহার না করলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা আবশ্যক। রোদের অতিবেগুনী রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য অনেকবেশি ক্ষতিকর। এজন্য প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঘরে বাইরে সব জায়গায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। জাপানিজ সানস্ক্রিন গুলো একদমই লাইটওয়েট হয় তাই ব্যবহারের পর ত্বকে তেল চিটচিটে ভাব, ভারী ভারী লাগা ইত্যাদি সমস্যা হয় না। ড্রাই স্কিনের জন্য বেছে নিতে পারেন Biore UV Aqua Rich Watery Essence অথবা, Skin Aqua UV Super Moisture Essence কিংবা Kao Biore UV Athlizm Skin Protect Essence Sunscreen। একইভাবে অয়েলি স্কিনের জন্য Nivea Sun Protect Super Water Gel অথবা Canmake Mermaid Skin Gel UV Sunscreen. কম্বিনেশন ত্বকে চাইলে যেকোনো সানস্ক্রিন-ই ব্যবহার করা যাবে। তবে, যদি স্কিনে সেন্সিটিভিটির সমস্যা থাকে তবে Biore UV Kids Pure Milk Sunscreen অথবা Kiss Me Mommy UV Aqua Milk বেছে নিতে পারেন। এগুলো মূলত শিশুদের কোমল ত্বকের জন্য তৈরী। তাই এতে খুবই মাইল্ড এবং জেন্টাল উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
এ তো গেলো সকালবেলার স্কিনকেয়ার রুটিন। এবার আসা যাক সারাদিনের ছোটাছুটি শেষে রাতের বেলা কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন সে ব্যাপারে।
১ম স্টেপ- ডাবল ক্লিঞ্জিংঃ
রাতের বেলার স্কিনকেয়ার রুটিনের প্রথম স্টেপ হলো ডাবল ক্লিঞ্জিং। ডাবল স্কিনের জন্য প্রথমে একটি অয়েল বেইজড ক্লিঞ্জার এবং এরপর একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হয়।
ড্রাই স্কিনে অয়েল ক্লিঞ্জিং এর জন্য Kose Deep Cleansing Oil অথবা, DHC Deep Cleansing Oil বা, Hada Labo Gokujyun Cleansing Oil বেছে নিতে পারেন।
অয়েলি স্কিনের জন্য Kose Speedy Cleansing Oil বা Chifure Washable Cold Cream বেছে নিতে পারেন। তবে যদি ক্লিঞ্জিং অয়েল স্যুট না করে তাহলে এর পরিবর্তে মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে Bifesta Micellar Cleansing Water জাপানে বেশ জনপ্রিয়।
আর যাদের কম্বিনেশন স্কিন তারা অয়েলি স্কিনের জন্য উপযুক্ত যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেন্সিটিভ স্কিন হলে MUJI Cleansing Oil For Sensitive Skin অথবা, Shiseido Tiss Deep Off Cleansing Oil ব্যবহার করতে পারেন।
ক্লিঞ্জিং অয়েল প্রথমে শুকনো হাতে নিয়ে মুখে ১ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে সানস্ক্রিন আর মেকাপ তুলে ফেলতে হবে, এরপর পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে আরও ১ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেললেই কাজ শেষ। এরপর পর-ই ত্বকের সাথে মানানসই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
রাতের বেলার স্কিনকেয়ার রুটিনে সকালবেলার মতো একই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে স্কিনকেয়ার সেরে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সানস্ক্রিন আর ব্যবহার করবেন না। যদি স্কিনে আলাদা কোনো সমস্যা থাকে তবে লোশন এর পরে এবং ময়েশ্চারাইজারের আগে সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, এই স্টেপ বাধ্যতামূলক নয়।