Beauty Tips

জে বিউটির সাহায্যে যেভাবে ডেমেজড স্কিন সতেজ করবেন

রং ফর্সাকারী ক্ষতিকর ক্রিম দেওয়ার কারণে আপনার স্কিন ডেমেজড হয়ে গেছে? রান্না ঘরে কাজ করার সময় আগুনের তাপ লাগল কিংবা বাইরে বের হলে সূর্যের তাপে আপনার স্কিন জ্বালাপোড়া করে ফেসে কিছু দিলেই লাল হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার স্কিন হয়তো ডেমেজড হয়ে গেছে।
প্রথমেই জেনে নেই ফর্সাকারী এই ক্রিম গুলো আপনার ত্বকে কি কি ক্ষতি করতে পারে –

–ত্বকের চামড়া পাতলা করে দেয়া

– ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ

– ব্রণের সমস্যা

– সূর্যের আলোতে ত্বক জ্বালাপোড়া এবং র‍্যাস ওঠা

– অ্যালার্জি

– ক্যান্সার

– কিডনির সমস্যা

ভাবছেন ডেমেজড স্কিন ঠিক কিভাবে করবেন বা রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যাবহার বন্ধ করে দেওয়ার পর আপনার স্কিনের প্রাকৃতিক রং আরো কালো হয়ে গেলে সেটা কিভাবে আবার ফিরিয়ে আনবেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য……

যদি আপনি মনে করেন আপনার ত্বকটি বেশি ডেমেজড তবে আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট অপশন হবে একজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখানো এরপর তার নিয়ম অনুযায়ী আপনার স্কিন কেয়ার রুটিন মেনটেন করা এবং যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শের মধ্যে থাকেন তবে আপনি তার কথামতোই চলবেন এর বাইরে নিজে থেকে কিছু এড করবেন না ত্বকের চিকিৎসা চললে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও কাজ করবেন না তাহলে আপনার ত্বকের ক্ষতি আপনি নিজেই করবেন। আর যদি মনে করেন আপনার ত্বকের ক্ষতিটা কিছুটা কম তবে আপনি নিচের এই ধাপগুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন

১. প্রথমেই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং এতদিন যা যা রং ফর্সাকারীক্ষতিকর ক্রিম ব্যাবহার করেছেন সব বন্ধ করে দিতে হবে।
২.একেক জনের কথা শুনে তার মত যেকোনো প্রোডাক্ট বা ক্রিম ব্যাবহার করবেন না প্রথমে সেই পণ্য টি আপনার জন্য ভালো হবে কিনা বা তার জন্য যে পণ্যটি কাজ করেছে সেই পণ্যটি আপনার জন্যও কাজ করবে এইরকম ভুল ধারণা রাখবেন না। নিয়মিত ত্বকের দেখভালের উপায় ও পদ্ধতি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার, ব্লগাররা তাদের বলা মত প্রতিটি প্রোডাক্ট ব্যাবহার করবেন না কেননা প্রতিটি মানুষের ত্বক আলাদা সবার স্কিনে সব ধরনের প্রোডাক্ট একই কাজ করবে না তাই যাচাই করে এরপর কিছু বেবহার করবেন।
৩. ত্বকে কোনো প্রেসার দিবেন না যেকোনো একটা প্রোডাক্ট এর উপরই নির্ভর করে থাকবেন বার বড় প্রোডাক্ট চেঞ্জ করবেন না । এতে আপনার স্কিনের আরো ক্ষতি হবে
৪. স্ক্রিন রিপেয়ার করার সময় আপনার তোকে হয়তো আরো সমস্যা বাড়তে পারে তখন ভয় না পেয়ে ধৈর্যশীল হয়ে নিজের স্কিনকে সময় দিন এবং আপনার জন্য যেই প্রোডাক্টটি কাজে দিবে শুধুমাত্র সেই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করবেন।কোনো রকম হোম রেমেডি ব্যাবহার করবেন না এতে করে আপনার ত্বক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।অনেক সময় অ্যালার্জিজনিত কারণে বা কারও সংবেদনশীল ত্বক হলে, সেই ঘরোয়া টোটকার প্রভাব খুব খারাপ হতে পারে।
৫.বেসিক কেয়ার শুরু করবেন। ধৈর্যশীল হয়ে শুধুমাত্র ফেস ওয়াশ মশ্চারাইজার সানস্ক্রিন দরকার পড়লে ডাবল ক্লিনজিং করবেন নিয়মিত এই চারটি বা তিনটি জি কমপক্ষে তিন থেকে চার মাস ব্যবহার করবেন কেননা ডেমেজড স্কিন রিপেয়ার হতে কম হলেও ৩/৪ মাস সময় লেগে যায় অনেকের ক্ষেত্রে কম বেশি ও হতে পারে তাই ১ সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে পরিবর্তন আসা করবেন না।
৬.ত্বকের জন্য সঠিক ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া জরুরি। আপনার ত্বক তৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক কিংবা সংবেদনশীল, চেষ্টা করুন হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করার বেছে নিবেন সেক্ষেত্রে hadalabo gokujyun foaming facewash টি ভালো অপশন হতে পারে কেননা এটি খুবই জেন্টেলি আপনার ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে।
৭.এরপর নিতে পারেন একটি মশ্চারাইজার যে ময়শ্চারাইজারটিতে থাকবে স্কিন রিপেয়ার করার মতো উপাদান এইরকম ভালো মশ্চারাইজার হতে পারে hadalabo gokujyun perfect gel বা meishoku ceracolla perfect gel কেননা এই দুটি মশ্চারাইজার আপনার স্কিন বেরিয়ার রিপেয়ার করতে সাহায্য করবে এছাড়াও আপনার স্কিনকে দিবে প্রোপার হাইড্রেশন যদি আপনার ত্বক অয়েলি হয়ে থাকে তবে আপনিmeishoku ceracolla perfect gel টি নিতে পারেন আর যদি আপনার ত্বক ড্রাই হয়ে থাকে তবে আপনি নিতে পারেন hadalabo gokujyun perfect gel
৮. ডেমেজড স্কিনের জন্য নিতে পারেন Skin aqua super Moisture milk বা biore barrier me সানস্ক্রিন এছাড়াও miakebd.com ওয়েবসাইটে গেলে পেয়ে যাবেন আরও অনেক ধরনের সানস্ক্রিনের অপশন।
৯ ডেমেজড স্কিনে ক্লিনসিং অয়েল না নিয়ে ক্লিনসিং ওয়াটার নিতে পারেন সেক্ষেত্রে Bifesta Pure Aqua Moisture Cleansing Water টি নিতে পারেন।
১০.ডেমেজড স্কিনে এক্টিভ উপাদান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন যেমন রেটিনোল, ভিটামিন সি, aha bha ইত্যাদি।
১১.সব সময় স্কিন ময়শ্চারাইজড রাখবেন এবং ৩ কেজি হাইড্রেট হতে দিবেন না।
১২. নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন এবং বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিক পরিমাণে রিঅ্যাপ্লাই করবেন।মেঘলা দিন হোক বা রোদ হোক, সানস্ক্রিন ব্যাবহার করতে ভুলবেন না। সানস্ক্রিন না লাগিয়ে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হবেন না। এতে রোদে আপনার ত্বক পুড়েও যেতে পারে। কেননা ডেমেজড স্কিন অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
১৩.ভারী মেকআপ করা থেকে কিছুদিন আপনার স্কিনটে বিরত রাখবেন এবং যদি একান্তই কোন মেকআপ করতে হয় তবে সেটা রাতে এসে ভালোভাবে ক্লিন করে নিবেন।।

কেবল প্রসাধনসামগ্রীতেই তো আর স্কিনের সব সমস্যার সমাধান হয় না। ত্বককে সুস্থ এবং ভেতর থেকে সুন্দর রাখতে সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলার পাশাপাশি লাইফস্টাইলে জোর দিতে হবে নিয়মিত বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মুখ মোছার তোয়ালে পরিষ্কার করবেন, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং বেশি করে পানি খাবেন নিয়ম করে ঘুমাবেন ব্যায়াম করবেন পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। আপনার ত্বক আপনার শরীরের সবচেয়ে বড় অংশ। এবং আপনি যা খান তা সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকে। সঠিক খাবার খেলে আপনার ত্বক হবে আরও উজ্জ্বল তারুণ্যে ভরা। সারারাত মাথায় তেল দিয়ে রাখবেন না শ্যাম্পু করার পর ফেসওয়াশ করে নিবেন যেন শ্যাম্পু বা তেলের কোন রেসিডিউ আপনার মুখে না লেগে থাকে বেশি।
ফর্সা নয় আপনি যেমন আছেন, সেভাবেই নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন।